পুরোনো বাড়ি রিনোভেশন করাচ্ছেন? কিছু অতি-প্রয়োজনীয় বিষয় জেনে নিন

reconstruction of old buildings Kolkata - procontechservices.com

জমি কিনে নতুন বাড়ি বানিয়ে নেওয়ার সুযোগ বা সৌভাগ্য কতজনের হয়? প্রচুর মানুষ আছেন যারা পৈতৃক বা পুরোনো কেনা বাড়িতেই বসবাস করেন। অনেক ক্ষেত্রেই এধরণের পুরোনো বাড়ি রিনোভেশন করানোর(মেরামত করা, সুন্দর বানানো এবং বাড়তি সুবিধা সংযোগ করা) প্রয়োজন পড়ে এবং বাড়ির বর্তমান মালিক হয়তো জানাশোনা কোনো রাজমিস্ত্রিকে দিয়ে এধরণের পরিবর্তন করিয়ে থাকেন। কিন্তু একজন reconstruction of old buildings Kolkata এক্সপার্টের মতে, একটা পুরোনো বাড়ির সঠিক নবীনিকরণ করতে গেলে আপনাকে অনেক কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। আসুন এই ব্যাপারে বিশদে জেনে নিই।

ছাদের মজবুতি নিশ্চিত করা

home repair service near me Kolkata - procontechservices.com

মাথার ওপর এক টুকরো ছাদ — কত মানুষের স্বপ্ন ! কিন্তু আপনার যদি পুরোনো বাড়ি হয়, আপনি নিশ্চই জল পড়া, পলেস্তরা খসা এবং ঝুলে পড়া ছাদের সঙ্গে আপোষ করে নিয়েছেন। তবে মনে রাখবেন, এই ছাদ না শুধু বিপজ্জনক, বরং দৃষ্টিকটু। তাই আপনার অবশ্যই উচিত সমস্যা অনুসারে মেরামত করিয়ে নেওয়া। একজন অভিজ্ঞ home repair service near me Kolkata-এর সাথে কথা বলে প্রয়োজন মতো ছাদের ওপর স্ক্রিড (পাতলা কংক্রিটের আস্তরণ) দেওয়া, ওয়াটারপ্রুফ পেইন্টিং, তলায় সাপোর্ট দিয়ে মজবুতি বাড়ানো ইত্যাদি কাজ করিয়ে নিন। মনে রাখবেন, সিলিঙের পলেস্তরা খসা কিন্তু ওয়াটার লিকেজের লক্ষণ, তাই শুধু পলেস্তরা করে দিলে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং পরিস্থিতি আরো জটিল ও খরচসাপেক্ষ হয়ে পড়বে।

পরিকাঠামোর মজবুতি বৃদ্ধি করা (Structural Strengthening)

structural strengthening service kolkata - procontechservices.com

আগেকার দিনে বাড়ি সাধারণত বিম-কলাম দিয়ে বানানো হতো না। একজন Structural Repair, Rehabilitation, Retrofitting expert Kolkata এক্সপার্টের কথায়, বয়েসের সাথে এসব বাড়ির ওজন সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়। তার ওপর কলকাতার পলিমাটি এই ধরণের বাড়িকে আরও অসুরক্ষিত করে তোলে। তাই এধরণের বাড়িতে যেকোনো ধরণের পরিবর্তন করতে গেলে সব থেকে আগে পরিকাঠামোর মজবুতি বাড়ানো খুবই জরুরি। নতুবা বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। মনে রাখবেন, সব ক্ষেত্রে কিন্তু বাড়ির সমস্যা একজন সাধারণ মানুষ, এমনকি একজন লোকাল রাজমিস্ত্রির পক্ষেও বোঝা সম্ভব নয়। আর তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন building restoration Kolkata এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলুন এবং প্রয়োজন থাকলে Micro Concrete Jacketing and Carbon Fiber Wrapping করিয়ে নিন। এই পদ্ধতিতে পরিকাঠামোর মজবুতিকরণ করালে বাড়ির আয়ু আরো ২০ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

সঠিক ওয়াটারপ্রুফিং করা

roof waterproofing service kolkata - procontechservices.com

ছাদ হোক, বাথরুম, রান্নাঘর বা বাড়ি-সংলগ্ন নর্দমা — সঠিক ওয়াটারপ্রুফিং না করালে আপনার বাড়ির সমূহ ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত এই ধরণের ক্ষতির মেরামত করা খুবই জটিল এবং তাই খরচও হয় অনেক বেশি। তাই সময় থাকতে বাড়ির প্রতিটি জলা জায়গার সামগ্রিক ওয়াটারপ্রুফিং করিয়ে নিন। আজকের দিনে অনেক প্রকারের ওয়াটারপ্রুফিং পেইন্ট ও কেমিক্যাল উপলব্ধ হয়ে গেছে। তাই এতে খরচ বা ঝামেলা খুবই কম। বিশদে জানতে যেকোনো roof waterproofing Kolkata ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলুন।

নোনা লাগার প্রতিকার করা

পুরোনো বাড়িতে নোনা লাগা এক ভয়ঙ্কর সমস্যা। আর কলকাতার আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় এই সমস্যা আরো দ্রুত ছড়ায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেওয়া খুবই জরুরি। তবে অনেকেই শুরুর দিকে এই সমস্যার গুরুত্ব না বুঝে দেওয়ালে শুধু রং করেই ছেড়ে দেন। এতে সংক্রমণ আরো অনেক বড়ো জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং দেওয়ালের গভীরের দিকেও একই ভাবে বাড়তে থাকে। তাই জানুন নোনা লাগার বিশদ কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার এবং শুরুতেই এই সমস্যা কে সমূলে শেষ করুন।

বাইরের দেওয়ালে ওয়াদারপ্রুফ পেইন্টিং করা

বাড়ি একজন মানুষের জীবনের সব থেকে দামি সম্পত্তি। অথচ সামান্য কিছু বাড়তি খরচ থেকে বাঁচতে অনেকেই সাধারণ রং দিয়েই বাড়ির এক্সটেরিয়র রং করে থাকেন। এর ফলে বর্ষার সময় রং ভেদ করে জল বাড়ির দেওয়ালের সংস্পর্শে চলে আসে এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে এর থেকে নোনা লাগা, ড্যাম্প বা জল পড়ার সমস্যা তৈরী হয়। একজন home repair service near me Kolkata এর কথায়, এর ফলে যেমন আপনার বাড়ির স্ট্রাকচার দুর্বল হয়ে পড়ে, তেমনি আপনার অনেক আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ওই পোকার সমস্যা দেখা দিতে পারে, বাড়ির পলেস্তরা ও রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং এগুলো রিপেয়ার করা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়তে পারে। তাই নতুন বাড়ি হোক বা পুরোনো, অবশ্যই এতে বেআদারপ্রুফ পেন্টিং করান। বিভিন্ন ধরণের রঙের ব্যাপারে বিশদে জানতে এই লেখাটি পড়ুন।

উইপোকার প্রতিকার করা

কলকাতার খুব কম বাড়িই আছে, যেখানে উইপোকা কোনো না কোনো সময় আক্রমণ করে নি। খুব কম ক্ষেত্রেই আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সঠিকভাবে প্রতিকার করতে পারবেন। তাই আপনার উচিত কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেস্ট কন্ট্রোলারের সাথে যোগাযোগ করে শুরুতেই এর সমাধান করা। কারণ একবার উইপোকা ছড়িয়ে গেলে আপনার যেমন পেস্ট কন্ট্রোলের খরচ বেড়ে যাবে, তেমনি একে পুরোপুরি নির্মূল করাও কঠিন হয়ে পড়বে।