স্মার্টফোন, স্মার্ট ভিলেজ — সবই যখন হচ্ছে, আপনার কিচেনটাই বা কেন স্মার্ট হবে না? আর তাই ফেসবুকে স্মার্টকিচেন বানানোর এডভারটাইজ দেখে প্রাথমিক কথাও করে নিয়েছেন, তাইতো? কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার ইঁট-পাথর-সিমেন্ট দিয়ে বানানো সাধারণ কিচেনকে স্মার্ট বানাতে গেলে কি কি বিষয় মাথায় রাখা দরকার? ওপর ওপর দেখতে সুন্দর হলে আর রকমারি ফিচার পেলেই কি আপনি খুশি? মনে রাখবেন আপনার কিচেন আপনার বাড়িরই একটা অংশ, আর তাই এর কোনো ক্ষতি মানে পুরো বাড়িতেই তার প্রভাব পড়বে। তাই আসুন জেনে নিই আমাদের building restoration Kolkata কন্ট্রাক্টর এব্যাপারে কি পরামর্শ দিচ্ছেন।
ওয়াটারপ্রুফিং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ
রান্নাঘর মানেই জলের ব্যবহার থাকবেই। আর তাই আপনাকে সব থেকে আগে দেখতে হবে যে আপনার কিচেন সঠিকভাবে ওয়াটারপ্রুফ আছে কি না। কারণ স্মার্টকিচেনের কাজ হয়ে যাওয়ার পর আপনি হয়তো জানতেও পারবেন না যে ভেতরে কোথায় জল লিক করছে বা দেওয়ালে ড্যাম্প হচ্ছে কি না, নোনা ধরছে কি না। এই জল দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকলে আপনার দেওয়াল ও ক্যাবিনেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তেমনি আপনার রান্নাঘরে নানান ধরণের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটিরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। তাই আপনার কিচেন ক্যাবিনেট বসানোর আগেই কোনো roof waterproofing Kolkata কন্ট্রাক্টরের সাথে কথা বলে কিচেনের ওয়াটারপ্রুফিং করিয়ে নিন।
দেওয়ালের মজবুতি মাথায় রাখুন
সাধারণত শহুরে সমস্ত বাড়িতেই রান্নাঘরের দেওয়াল ৫ ইঞ্চি, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ৩ ইঞ্চির হয়। এই দেওয়াল উল্লম্বভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যখন আপনি এর ওপর আপনি টানা ক্যাবিনেট ঝুলিয়ে দেবেন এবং তার মধ্যে নানান জিনিস রাখবেন সেই পুরো ওজন দেওয়ালকে ভেতরের দিকে টেনে রাখবে। তাই, দেওয়ালের মজবুতি সঠিক না থাকলে সামান্য ভূমিকম্পেও কিন্তু দেওয়াল ভেঙে পড়ে সাংঘাতিক বিপদ ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজনে কোনো crack treatment in building Kolkata এক্সপার্টকে দিয়ে দেওয়ালের মজবুতির পরীক্ষা করিয়ে তারপর স্মার্টকিচেনের কাজ শুরু করুন।
খেয়াল রাখুন সমস্ত গর্ত সীল করছে কি না
স্মার্ট কিচেনের ক্যাবিনেট, চিমনী, জলের পাইপ, গ্যাস পাইপ এসব বসানোর জন্যে সাধারণত নানান জায়গায় দেওয়ালে গর্ত করতেই হয়। কিন্তু পুরো কাজ হয়ে গেলে সেই গর্ত ক্যাবিনেটের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। তাই আপনি হয়তো সেভাবে ওগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। কিন্তু ওই গর্ত দিয়ে কিচেনের আর্দ্রতা, এমনকি বৃষ্টির জলও ঢুকতে পারে। ধীরে ধীরে এর থেকে উইপোকা লাগা, ড্যাম্পের সমস্যা এমনকি নোনা ধরার সমস্যাও তৈরী হতে পারে। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখুন যে ওই সব গর্ত সঠিকভাবে সঠিক ধরণের সিল্যান্ট দিয়ে সীল করছে কি না।
ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিকঠাক করিয়ে নিন
বাথরুমের পরেই রান্নাঘরে সব থেকে বেশি জলের ব্যবহার হয়। কিন্তু অধিকাংশ ঠিকাদার রান্নাঘরের ড্রেনেজ ততটা ভালোভাবে বানায় না। আর তার থেকেও যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, রান্নাঘরের সিঙ্কে খাবারের টুকরো, তেল, চাপাতা ইত্যাদি ফেলা হয় যা ড্রেনেজে গিয়ে ব্লকেজ তৈরী করে। যেহেতু রান্নাঘরে জলের চাপ কম থাকে, তাই ড্রেনেজ পাইপের ঢাল ঠিক না থাকলে এইসব পদার্থকে জল ঠেলে নিয়েও যেতে পারে না। খোলামেলা রান্নাঘরে সেটা খুব একটা সমস্যা হয় না, কারণ আপনি ব্লকেজ হলে সামান্য কিছু কসরত করে ঠিক করে নিতে পারবেন। কিন্তু স্মার্ট কিচেনে সেটা একটা বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আগেই আপনার কিচেনের ড্রেনেজ ঠিকঠাক করিয়ে নিন।
ভেপার প্রতিরোধক পেইন্ট করিয়ে নিন
দেখা গেছে একটা সাধারণ বাড়িতে অন্যান্য রুমের থেকে রান্নাঘরের আর্দ্রতা ৬০% পর্যন্ত বেশি হয়। কিছু ক্ষেত্রে এটা বাথরুমের থেকেও বেশি — কারণ এখানে জল এবং তাপ দুটোই বেশি। আর এই আর্দ্রতা আপনার ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভের যেমন ক্ষতি করবে, আপনার দেওয়ালেরও ভীষণ ক্ষতি করবে। তাই রান্নাঘরের দেওয়ালে সাধারণ মানের রং না দিয়ে ভেপার বা বাস্প-প্রতিরোধক পেইন্ট করিয়ে নেওয়া খুবই জরুরি — এবং অবশ্যই স্মার্ট কিচেনের কাজ শুরু করার আগে। এতে করে দেওয়াল যেমন ড্যাম্পের সমস্যা থেকে দূরে থাকবে, তেমনি আপনার রঙের ব্লিস্টারিং (বা ফোস্কা পড়া), ক্র্যাক হওয়া বা পাপড়ি হওয়া থেকেও বাঁচতে পারবেন।
কিচেনের এয়ার ভেন্টিলেশন ঠিকঠাক রাখুন
আপনি হয়তো ভাবছেন যে আপনার তো কিচেন চিমনী থাকবে, তাই ভেন্টিলেশনের কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি চিমনী শুধুমাত্র রান্না করার সময়ই চালাবেন — তাও আবার ইলেক্ট্রিসিটি থাকলে। বাকি সময় আপনার রান্নাঘরের আর্দ্রতা বেরোনোর কোনো পথ পাবে না। তখন সেই জলীয় বাস্প আপনার সমস্ত বাড়িতে ছড়াতে শুরু করবে এবং আপনার আসবাব, দেওয়াল, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সব নষ্ট হতে শুরু করবে। তাই প্রাকৃতিক আলো-হওয়ার সুবন্দোবস্ত অবশ্যই রাখুন।
আরো বিশদে জানতে বা কোনো পরামর্শ পেতে অবশ্যই আমাদের এক্সপার্টের সাথে যোগাযোগ করুন।